
কক্সবাজারের রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার পাঁচজন যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় কক্সবাজারমুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। বর্তমানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অটোরিকশাটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে আটকে গেলে কিছুদূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়।
রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, যে স্থানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে গেটম্যান থাকে না। ওই জায়গায় নির্দেশনা সাঁটানো রয়েছে নিজ দায়িত্বে পারাপার হওয়ার জন্য। তারপরও আমরা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং সুপারিশ রয়েছে কি-না জানার জন্য কমিটি করেছি।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা কক্সবাজারমুখী ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস কিছুক্ষণ আটকে রেখেছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তা আমরা সচল করেছি।
জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি রামুর রশিদনগর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া অটোরিকশাটি কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী থেকে রামুর দিকে যাচ্ছিল।
এর আগেও একই ক্রসিংয়ে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
পাঠকের মতামত